কয়েকদিন আগে শেষ হয়েছে এশিয়া কাপ ক্রিকেট। তবে টুর্নামেন্টের মাঠের লড়াই শেষ হলেও ট্রফি ঘিরে বিতর্কের ইতি ঘটেনি।
ফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ভারত। কিন্তু এখনো পর্যন্ত ট্রফিটি তাদের হাতে পৌঁছেনি। কারণ, ভারতীয় খেলোয়াড়েরা পিসিবি ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির কাছ থেকে ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানান। এর জবাবে নাকভিও অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন এবং ঘোষণা দেন—ভারতকে যদি ট্রফি নিতে হয়, তবে তা তাঁর হাত থেকেই নিতে হবে।
এ ঘটনায় এখনো সমাধান হয়নি ট্রফি হস্তান্তরের জটিলতা। তবে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, নাকভির আচরণ নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন, এবং বিষয়টি নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। এমনকি নাকভি আইসিসিতে তাঁর পরিচালক পদও হারাতে পারেন বলে জানা গেছে।
পিটিআইকে বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র জানায়-
“পিসিবি কিংবা নাকভির ক্ষেত্রে কী ঘটে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে আমাদের কাছে বিষয়টি পরিষ্কার—ভারতীয় দলকে জোর করে নিজে ট্রফি দিতে চাওয়া কিংবা টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক আয়োজক বিসিসিআইয়ের কাছে ট্রফি না পাঠানো, নাকভির এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না।”
এর আগে বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া বলেছিলেন,
“এশিয়া কাপের ট্রফি নাকভির ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। যত দ্রুত সম্ভব সেটি ভারতের কাছে ফেরত দিতে হবে।”
সূত্র জানায়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এসিসির সভাতেও এই ইস্যুটি গুরুত্বের সঙ্গে তোলা হয়। বিসিসিআই অবিলম্বে ট্রফি হস্তান্তরের দাবি জানালেও নাকভি তার জবাবে জানান, ভারতকে তাদের অধিনায়ককে এসিসির কার্যালয়ে পাঠিয়ে তাঁর উপস্থিতিতেই ট্রফি গ্রহণ করতে হবে।
বর্তমানে এশিয়া কাপের ট্রফিটি দুবাইয়ে এসিসির কার্যালয়ে তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। সংস্থাটির কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে, নাকভির অনুমতি ছাড়া কেউ যেন ট্রফিটি স্থানান্তর বা কারও হাতে হস্তান্তর না করে।
নাকভির ঘনিষ্ঠ এক সূত্র পিটিআইকে জানিয়েছে-
“ট্রফিটি এখনো দুবাইয়ে এসিসির অফিসে আছে। নাকভির স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে তাঁর অনুমতি ও উপস্থিতি ছাড়া সেটি কারও হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। তিনি নিজেই উপস্থিত থেকে ভারতীয় দল বা বিসিসিআইকে ট্রফিটি দেবেন, যখনই সেটি ঘটে।”
এশিয়া কাপের মাঠের প্রতিযোগিতা শেষ হলেও, ট্রফি নিয়ে এ বিতর্কই এখন ক্রিকেট দুনিয়ার নতুন আলোচনার বিষয়।