উপজাতির পরিবর্তে “আদিবাসী” শব্দের অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ যা সরাসরি বাংলাদেশের সংবিধান, জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী।
সংবিধানের ২৩ক অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীকে ‘ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী’ বা ‘উপজাতি’ হিসেবে উল্লেখ করতে হবে ‘আদিবাসী’ নয়। এছাড়া, ২০১১ সালে জাতীয় সংসদে গৃহীত প্রস্তাবেও “আদিবাসী” শব্দের ব্যবহারকে সংবিধানবিরোধী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সেই প্রেক্ষাপটে এই শব্দ ব্যবহারের সুপারিশকে সমালোচকরা দেশের বিরুদ্ধে গভীর চক্রান্ত হিসেবে দেখছেন।
তথ্য অনুযায়ী, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত পার্বত্য চুক্তিতে স্বাক্ষরকারীরা নিজেদের ‘আদিবাসী’ নয়, বরং ‘উপজাতি’ হিসেবে পরিচিতি দিয়েছেন। সমালোচকদের প্রশ্ন—চুক্তির এত বছর পর কেন কিছু মহল ও সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী নিজেদেরকে পুনরায় ‘আদিবাসী’ দাবি করছে? এই প্রবণতাকে তারা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন।
উল্লেখ্য, পার্বত্য চুক্তির ফলে উপজাতি কোটা ও বিশেষ সুবিধার আওতায় শিক্ষা, চাকরি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেও, বর্তমানে ‘আদিবাসী’ দাবি তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সমালোচকদের মতে, এটি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করতে পারে।
১. গণমাধ্যম নীতিমালায় “আদিবাসী” শব্দ যুক্ত করার সুপারিশ একটি ষড়যন্ত্র। বাংলাদেশের বাস্তবতায় কোনো জনগোষ্ঠী আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য নয়। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলো ভারত, মিয়ানমার ও তিব্বতের বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছে। সুতরাং তাদের “আদিবাসী” হিসেবে পরিচিত করা ইতিহাস বিকৃতির শামিল।
২. আন্তর্জাতিক মহলে বিচ্ছিন্নতাবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। “আদিবাসী” শব্দটি স্বীকৃতি পেলে পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু চরমপন্থী গোষ্ঠী আন্তর্জাতিক সমর্থন পাওয়ার সুযোগ পাবে, যা দেশের অখণ্ডতা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।
৩. বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারের হাতিয়ার বানানোর চেষ্টা চলছে। কিছু বিদেশি সংস্থা ও এনজিও দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করছে।