খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি উপজেলার বার্মাছড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর নিয়মিত উপস্থিতিকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। সেনার রুটিন টহল কার্যক্রম বিকৃত করে বলা হচ্ছে, ‘বিহারের জমিতে সেনা ক্যাম্প নির্মাণ হচ্ছে।’ তবে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, বার্মাছড়ি বহুদিন ধরে ইউপিডিএফের সক্রিয় ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সাম্প্রতিক সময়ে ওই এলাকায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি আবারও সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে— অস্ত্র ও লোকবল জড়ো করছে। এ প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ।
ইউপিডিএফের সমর্থিত সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম শুক্রবার সকাল ১১টায় বার্মাছড়ি বাজারে বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে। সংগঠনের সভাপতি ক্যামেরন দেওয়ান দাবি করেছেন, সেনারা নাকি বিহারের জমিতে ক্যাম্প করছে। কিন্তু প্রশাসন জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট জমিটি কোনো বিহার বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নয়; বরং এটি দীর্ঘদিন ইউপিডিএফের ‘কমান্ড পোস্ট’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, “একটি পক্ষ ফেসবুকে গুজব ছড়িয়ে স্থানীয়দের উসকে দিয়ে আবারও বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে।”
স্থানীয় প্রবীণরা সেনাবাহিনীর উপস্থিতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের ভাষায়, “সেনারা জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে, ইউপিডিএফের ভয় কমিয়ে দিয়েছে।” এক দোকানি বলেন, “সেনারা থাকলে শান্তি থাকে, চাঁদাবাজি কমে যায়।”
প্রশাসন ও সেনা কর্তৃপক্ষ ২৪ অক্টোবরের ঘোষিত বিক্ষোভ ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। বাজার ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কেউ যদি শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার চেষ্টা করে, তবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।