চীনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য সংঘাত কমাতে চীনা পণ্যের উপর আরোপিত শুল্ক হ্রাসের পরিকল্পনা বিবেচনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। বিষয়টি এক সরকারি সূত্র নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সূত্র বলছে, এই পদক্ষেপ একতরফাভাবে নয়, আলোচনার ভিত্তিতেই নেওয়া হবে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাতে জানা গেছে, বর্তমানে চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক কমিয়ে ৫০ থেকে ৬৫ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব বিবেচনায় রয়েছে। যদিও এখনো এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেননি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এই খবর প্রকাশের পরপরই মার্কিন শেয়ারবাজারে তীব্র ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুয়ার্স ৫০০ সূচক ৩.৩ শতাংশ বেড়ে দুই সপ্তাহের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে।
ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, “চীনের সঙ্গে আমরা এমন একটি চুক্তির পথে এগোচ্ছি, যেখানে তাদের পণ্যের শুল্ক কমানো হবে।” তবে তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “চীন যদি চুক্তিতে না আসে, তাহলে আমরা নিজেরাই আমাদের শর্ত ঠিক করবো।”
প্রশাসন বর্তমানে স্তরভিত্তিক শুল্ক কাঠামো বিবেচনা করছে, যা হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের চীন কমিটির প্রস্তাবনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল—
-
জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিহীন পণ্যে ৩৫% শুল্ক
-
কৌশলগত পণ্যে কমপক্ষে ১০০% শুল্ক
-
এই হার পাঁচ বছরে ধাপে ধাপে বাস্তবায়নের প্রস্তাব
চীনা পণ্যের উপর শুল্ক বাড়ানো শুরু হয় ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা তীব্র হয়ে ওঠে। বর্তমানে আলোচনার মাধ্যমে সেই উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টায় রয়েছে উভয় দেশ।হোয়াইট হাউস থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য না এলেও, বিভিন্ন সূত্র বলছে আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে এবং বিভিন্ন বিকল্প মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, এই উদ্যোগ দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে চীনের প্রতিক্রিয়া কী হবে, সেটাই এখন নির্ধারক।
অন্যদিকে, ট্রাম্প ফেডারেল রিজার্ভের প্রধানকে বরখাস্তের হুমকি থেকে সরে আসায়ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে এসেছে। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, বাণিজ্য বিরোধ কমলে তা শুধু দুই দেশের জন্যই নয়, বৈশ্বিক অর্থনীতির জন্যও বড় আশার বার্তা হতে পারে।