সম্প্রতি একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দেশের জনগণ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে অবিশ্বাসের বীজ বপন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বলা হচ্ছে, “ভারত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়” কিংবা “ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে বিদেশি চাপে কাজ করছেন” এই সব বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। চলুন দেখে নিই, বাস্তবতা কী:
- বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কারও অনুগত নয়, এটি রাষ্ট্রের অধীন একটি পেশাদার বাহিনী। দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় তারা নিরপেক্ষভাবে কাজ করে থাকে। বাহিনীর পদোন্নতি ও রদবদল একটি অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক প্রক্রিয়া, বিদেশি কোনো হস্তক্ষেপ এখানে সম্ভব নয়।
- অন্তর্বর্তী সরকারের অভ্যন্তরীণ আলোচনা বা উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের তথাকথিত “ভেতরের খবর” ফাঁস করার নামে যেসব গল্প বানানো হচ্ছে, সেগুলো কোনো প্রমাণ ছাড়া সাজানো রাজনৈতিক নাটক। এগুলোর উদ্দেশ্য সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের মধ্যে সংশয় সৃষ্টি করা।
গুজব মানেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। গুজব মানেই জাতিকে দুর্বল করার চক্রান্ত। আমরা আমাদের সেনাবাহিনী ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা রাখি। আমরা চাই একটি শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। তাই, গুজবে কান না দিয়ে সত্য যাচাই করুন। বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট দেখলে প্রতিবাদ করুন। দেশবিরোধী অপচেষ্টাকে রুখে দিন।