জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে, তবে এখনো নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম।
গতকাল রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,
“নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে আমাদের মধ্যে একটি প্রস্তুতি অবশ্যই রয়েছে। যে দায়িত্ব আমাদের ওপর অর্পণ করা হবে, তা আমরা যথাযথভাবে পালন করব।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের প্রচারণা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কর্নেল শফিকুল বলেন,
“এটি একটি অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়। আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, কারা কী উদ্দেশ্যে প্রপাগাণ্ডা ও মিস-ইনফরমেশন ছড়াচ্ছে। আপনারাই ভালো জানেন কে কতটুকু বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করছে – এই দায়িত্ব আপনাদের।”
নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন,
“প্রায় ৮০ শতাংশ হারানো অস্ত্র ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এসব অস্ত্র উদ্ধার হলে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সহায়ক হবে।”
দেশব্যাপী মব বা সহিংস জনতার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অবস্থান সম্পর্কে তিনি বলেন,
“মবের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স। যেখানেই মব হয়েছে, সেনাবাহিনী দ্রুত পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। কোথাও কোথাও তথ্য পেতে দেরি হওয়ায় কিছুটা সময় লেগেছে, তবে এমন কোনো নজির নেই যে অনুরোধ পাওয়ার পরও সেনাবাহিনী যায়নি। জনগণের আস্থা আমাদের প্রতি থাকুক—আমরা চেষ্টা করছি, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে।”
গুম কমিশন নিয়ে প্রচারিত গুজব সম্পর্কে কর্নেল শফিকুল বলেন,
“এটি একটি গুজব। আমাদের যাদেরকে গুম কমিশন ডেকেছে, সবাই তদন্তে সহযোগিতা করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। সেনাবাহিনী গুম কমিশনের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে।”
সীমান্ত পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন,
“সীমান্তে যেসব সংস্থা কাজ করছে, তারা সজাগ ও সোচ্চার রয়েছে। সেনাবাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে সম্মিলিতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”