ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সীমান্ত দিয়ে প্রায় ৭৫০ জনকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে পুশইন করার পরিকল্পনা করেছিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এই গোপন তথ্য হাতে পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দিবাগত রাত থেকে সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবির নির্দেশে স্থানীয় বাসিন্দারাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অংশ নেন।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের নলঘরিয়া ও নোয়াবাদী সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটানোর প্রস্তুতি নেয় বিএসএফ। পরিকল্পনা অনুযায়ী আগরতলা সীমান্তে সন্দেহভাজন এসব মানুষকে জড়ো করছিল ভারতীয় বাহিনী। খবর পেয়ে বিজিবি দ্রুত সীমান্তে টহল ও নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং স্থানীয় জনগণকে সতর্ক করে।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি মাইকিং করে এলাকাবাসীকে সতর্ক করলে তারা লাঠিসোঁটা হাতে সীমান্তে অবস্থান নেয়। বিজিবি ও স্থানীয় জনগণের সম্মিলিত সতর্কতায় বিএসএফের পুশইন পরিকল্পনা ব্যর্থ হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিজিবির ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জাব্বার আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের পরিকল্পনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিজিবি সজাগ হয় এবং টহল কার্যক্রম জোরদার করে। স্থানীয় জনগণও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। তিনি আরও বলেন, সীমান্তে বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে এবং বিজিবি সদস্যরা মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধে নিয়মিত তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিবির দ্রুত পদক্ষেপ এবং স্থানীয়দের সক্রিয় সহযোগিতা এই ধরনের অপচেষ্টা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে বলে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন।