বাংলাদেশ নৌবাহিনী আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও ত্রিমাত্রিক শক্তিতে পরিণত হয়ে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
রোববার সকালে চট্টগ্রাম নেভাল একাডেমিতে আয়োজিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর গ্রীষ্মকালীন রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সেনাপ্রধান বলেন, “দেশের সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা, সমুদ্রসম্পদের সুরক্ষা, সমুদ্রপথে অপরাধ দমন এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে নৌবাহিনী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।” তিনি নৌবাহিনীর ভবিষ্যৎ সদস্যদের সততা, শৃঙ্খলা ও আত্মত্যাগের আদর্শে বলীয়ান হয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সেনাপ্রধান একটি জিপে চড়ে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং নবীন কর্মকর্তাদের আটটি প্লাটুন থেকে সশ্রদ্ধ সালাম গ্রহণ করেন। পরে প্রশিক্ষণে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী কর্মকর্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন তিনি।
এবারের কুচকাওয়াজে মোট ৫২ জন নবীন কর্মকর্তা কমিশন লাভ করেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন ৪৪ জন মিডশিপম্যান ও ৮ জন ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার। কমিশনপ্রাপ্তদের মধ্যে ৮ জন নারী এবং ৪ জন বিদেশি কর্মকর্তাও রয়েছেন।
অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বেসামরিক প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং নবীন কর্মকর্তাদের পরিবারবর্গ উপস্থিত ছিলেন।