জুলাই আন্দোলনে গুরুতর আহত ১ হাজার ৫৬০ জনের জন্য রাজধানীর মিরপুর ৯ নম্বর সেকশনে আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণের প্রস্তাব করেছে সরকার। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। সম্প্রতি প্রকল্প প্রস্তাবটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে শহীদ পরিবারের জন্য মিরপুর ১৪ নম্বর সেকশনে ৮০৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণের একটি প্রকল্প একনেক সভায় উত্থাপন করা হলেও তা ফেরত পাঠানো হয়। ওই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়ন করে প্রকল্প ব্যবস্থাপনার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
গৃহায়ন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ক্যাটাগরি ‘এ’ ও ‘বি’ তালিকা অনুসারে উপকারভোগী নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর ও অতি গুরুতর আহতদের জন্য ফ্ল্যাট বরাদ্দের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী ১৫টি ১৪তলা ভবন নির্মাণ করা হবে, প্রতিটি ভবনে বেসমেন্টসহ গাড়ি পার্কিং, লিফট, সাব-স্টেশন, জেনারেটর, সৌরশক্তি ব্যবস্থা ও ফায়ার হাইড্রেন্টের সুবিধা থাকবে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, খেলার মাঠ, সবুজ এলাকা ও অভ্যন্তরীণ সড়কও থাকবে প্রকল্প এলাকায়।
জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ৮৩৩ কাঠা জমিতে এসব ভবন নির্মাণ করা হবে এবং ২০২৯ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্প শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন হবে ১ হাজার ৩২০ বর্গফুট এবং জমির দামসহ গড় মূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। তবে পরিকল্পনা কমিশন মনে করছে, প্রস্তাবিত ব্যয় বর্তমান বাজারদরের তুলনায় কিছুটা বেশি।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সরাসরি ১ হাজার ৫৬০টি পরিবার উপকৃত হবে। পাশাপাশি স্থানীয় নিম্নআয়ের বাসিন্দারাও বিভিন্নভাবে এর সুফল ভোগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এর আগে শহীদ পরিবারের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের আরেকটি প্রকল্প অনুমোদন না পাওয়ায় নতুন প্রস্তাবটির ক্ষেত্রেও বিলম্ব হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।