আগামী ১০ জুন দেশের মাটিতে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এই ম্যাচ ঘিরে দেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে যেমন উত্তেজনা বিরাজ করছে, তেমনি দুই নতুন মুখের অভিষেক ঘিরেও তৈরি হয়েছে বাড়তি আগ্রহ।
সেই ম্যাচেই প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে অভিষেক হতে যাচ্ছে কানাডা প্রবাসী ফুটবলার শমিত সোমের। একইসঙ্গে ঘরের মাঠে প্রথমবার খেলতে নামবেন ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। তাদের দুজনকে ঘিরে ফুটবলাঙ্গনে যেমন প্রত্যাশা বেড়েছে, তেমনি বিদেশে থাকা বাঙালি ফুটবলপ্রেমীরাও মুখিয়ে আছেন এই দুই প্রতিভাকে বাংলাদেশের জার্সিতে দেখার জন্য।
বাংলাদেশের জার্সিতে সম্ভাব্য অভিষেকের আগে শমিত সোম একটি ভিডিও বার্তায় দেশের ফুটবল সমর্থকদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় শমিত বলেন,
“আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে মুখিয়ে আছি। অসাধারণ সমর্থনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ জানাই তাদেরকেও, যারা দ্রুততার সঙ্গে প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করে আমাকে বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগ করে দিয়েছেন।”
মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট পেয়েছেন শমিত, যা সাধারণত দীর্ঘ সময়সাপেক্ষ হলেও বাফুফে ও সরকারের চেষ্টায় রেকর্ড সময়েই সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে কানাডার ফুটবল ফেডারেশন থেকেও অনুমতি এসেছে, এবং সবশেষে ফিফার ছাড়পত্র পাওয়ার পর শমিতের জন্য বাংলাদেশের দরজা পুরোপুরি খুলে গেছে।
শমিত সোম মূলত একজন আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার, যিনি কানাডার বিভিন্ন পর্যায়ের ফুটবলে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে গড়ে তুলেছেন। তাঁর বল কন্ট্রোল, গতিময় খেলা ও পজিশনিং দেশের ফুটবলে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছেন কোচ ও বিশ্লেষকরা।
ফুটবল বিশ্লেষকদের মতে, শমিত ও হামজার মতো খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশ জাতীয় দলের শক্তি ও গভীরতা বাড়াবে। একইসঙ্গে তরুণ ফুটবলারদের জন্য অনুপ্রেরণাও হয়ে উঠবে। বিদেশে বেড়ে ওঠা হলেও শিকড়ের টানে তারা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে আসছেন, যা দেশের ফুটবলের জন্য বড় অর্জন।
এখন অপেক্ষা ১০ জুনের—যেদিন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হাজারো দর্শকের সামনে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হবে শমিত সোম ও হামজা চৌধুরীর। এই ম্যাচ শুধু একটি বাছাইপর্বের লড়াই নয়, বরং হতে চলেছে নতুন যুগের সূচনা।