সুনামগঞ্জে সেনাবাহিনী-সন্ত্রাসী গোলাগুলিতে নিহত ১, উদ্ধার অস্ত্র-গুলি

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার গাদালিয়া গ্রামে সেনাবাহিনীর সঙ্গে স’ন্ত্রা’সীদের গোলাগুলির ঘটনায় আবু সাঈদ (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। রবিবার (২২ জুন) গভীর রাতে সংঘটিত এই ঘটনায় সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, গু লি ও দেশীয় অ’স্ত্র উদ্ধার করেছে। ঘটনার পর পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নে যুবলীগ নেতা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান একরার হোসেন এবং বিএনপি নেতা আতিকুর রহমানের মধ্যে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব চলছিল। গত শুক্রবার (২০ জুন) এই দুই পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষই প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে। পরবর্তী সহিংসতা ঠেকাতে এবং অবৈধ অ’স্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনীর ৫৭ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি দল শান্তিগঞ্জ ক্যাম্প থেকে অভিযান শুরু করে।

অভিযান চালিয়ে সেনা সদস্যরা কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে গেলে স’ন্ত্রাসীরা ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে করে হাওরপথে পালিয়ে গিয়ে জগন্নাথপুর উপজেলার গাদালিয়া গ্রামে আশ্রয় নেয়। রাতেই সেনাবাহিনীর দল সেখানে পৌঁছালে স’ন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে সেনা সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির পর স্থানীয়রা আবু সাঈদের মরদেহ দেখতে পান।

শান্তিগঞ্জ ক্যাম্পের এক কর্মকর্তা জানান, “ঘটনাস্থল থেকে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলিসহ গোলাবারুদ ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।” তবে নিহত আবু সাঈদ সংঘর্ষের সময় কোন অবস্থানে ছিলেন এবং তিনি কাদের গুলিতে মারা গেছেন তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। আবু সাঈদ স’ন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন কি না এবং কেন তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন, তা নিয়েও তদন্ত চলছে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার আশায় রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *