পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চালের কার্ড পেতে ঘুষ দিতে বাধ্য হওয়ার অভিযোগে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। যমুনা নিউজের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নজরে আসে।
সংবাদের ভিত্তিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় সেনাবাহিনী। বাউফলে অস্থায়ী সেনাক্যাম্পের উদ্যোগে দুর্নীতির মাধ্যমে আদায় করা অর্থ জেলেদের ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
ইতোমধ্যে সোমবার (৩০ জুন) দুপুর ২টার পর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে সরকারিভাবে নিবন্ধিত ১,০০০ জেলেকে আদায়কৃত টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (প্যানেল-১) জহিরুল ইসলাম।
এর আগে, গত ২৮ জুন একটি প্রতিবেদনে উঠে আসে—ধুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে জেলেদের চালের কার্ড দিতে গিয়ে তাঁদের থেকে জনপ্রতি ২০০ টাকা করে ঘুষ আদায় করা হচ্ছিল। ঘুষ আদায়ের এই প্রক্রিয়ায় সিরিয়াল দেওয়ার জন্য চেয়ার-টেবিল বসিয়ে লাইন করানো হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল্লাহ আল মামুন। অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে, জানতে চাইলে দায়সারা জবাব দেন সংশ্লিষ্টরা।