জুলাই গণ অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সোমবার সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনাল চত্বর ও আশপাশের এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী সাঁজোয়া যানসহ অবস্থান নিয়েছে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসংলগ্ন সড়কে সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের প্রতিটি প্রবেশপথেই বাড়তি নিরাপত্তা টহল দেখা গেছে।
গণ অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দায়ের করা মামলাগুলোর মধ্যে এটিই প্রথম, যার রায় আজ ঘোষণা করা হবে। এ মামলার তিন আসামির মধ্যে আছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তাঁদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক এবং বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন।
অপরদিকে গ্রেপ্তার হওয়া একমাত্র আসামি সাবেক আইজিপি মামুন আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। যুক্তিতর্কে প্রসিকিউশন শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছে। সঙ্গে তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে জুলাইয়ে নিহতদের পরিবার ও আহত ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ মধ্যে বণ্টনের আবেদন জানিয়েছে।
প্রসিকিউশনের মতে, সাবেক আইজিপি মামুন ‘অ্যাপ্রুভার’ হিসেবে ঘটনার পূর্ণ সত্য তুলে ধরেছেন এবং তাঁর বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের যথাযথ সিদ্ধান্তই প্রযোজ্য হবে। অন্যদিকে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীরা শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের খালাস চেয়েছেন।