বাংলাদেশ সেনাবাহিনীঃ দৃশ্যের আড়ালে নিরলস যোদ্ধা

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান দেশের শান্তি, শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা হানাহানি বা বিদ্বেষ চাই না। মতপার্থক্য থাকতেই পারে, তবে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ অত্যন্ত জরুরি।’ রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে ‘সম্প্রীতি ভবন’ নির্মাণ উপলক্ষে ১৩ এপ্রিল আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেনাপ্রধান তাঁর উপস্থিতির জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ আমরা সবাই মিলে দেশ ও জাতিকে একটি শান্তির জায়গায় নিয়ে যেতে চাই।’

৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জাতীয় ঐক্য, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্রের প্রতি সেনাবাহিনীর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে আসছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, ‘সেনাবাহিনীকে আমি কখনো রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে হস্তক্ষেপ করতে দেব না।’

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ১৪ এপ্রিল ঢাকেশ্বরী মন্দিরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের সংস্কৃতি ও সৌহার্দ্যের প্রতীক। ধর্ম নয়, মানবিকতা বড়। আমরা সবাই এই মাটির সন্তান।’ এসময় তিনি দেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনার প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেন।

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ উপলক্ষে রাওয়া ক্লাবে পিলখানার শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান বলেন, ‘মতের ভিন্নতা থাকলেও দেশের স্বার্থে আমাদের এক থাকতে হবে। একতাই উন্নয়নের মূল শক্তি।’

সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানের দূরদর্শী ভূমিকা দেশকে গৃহযুদ্ধ থেকে রক্ষা করেছে। তার নেতৃত্বে সেনাবাহিনী জনগণের পক্ষে দাঁড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ঘটাতে সহায়তা করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *