একসময় বলিউডের সবচেয়ে আলোচিত প্রেমজুটি ছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন ও রণবীর কাপুর। ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও, সেই প্রেম শেষ পর্যন্ত টেকেনি। তবে বিচ্ছেদের তিক্ততা কাটিয়ে দীপিকা-রণবীর আজ বন্ধু হিসেবেই ভালো থাকেন—এটাই যেন তাঁদের সম্পর্কের সবচেয়ে পরিণত রূপ।
সম্পর্ক ভাঙার পর দীপিকা এক সময় গভীর বিষণ্নতায় ডুবে গিয়েছিলেন, এমনকি আত্মহননের চিন্তাও করেছিলেন বলে নিজেই জানিয়েছেন। প্রায় দুই বছর কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়েছিলেন। পরে তিনি ঘুরে দাঁড়ান, ব্যক্তিগত জীবনে স্থিরতা খুঁজে পান, এবং পরপর সফল সিনেমা উপহার দিয়ে বলিউডে নিজের অবস্থান মজবুত করেন।
অন্যদিকে রণবীর কাপুরও সময়ের সঙ্গে পরিণত হয়েছেন। তিনি এখন বাবা, কন্যা রাহার জন্মের পর ধূমপান ছেড়েছেন, জীবনযাপনে এনেছেন স্বাস্থ্য সচেতনতা। কন্যার সঙ্গে সময় কাটানো তাঁর জীবনের অন্যতম অগ্রাধিকার।
২০১৮ সালে দীপিকা যখন রণবীর সিংকে বিয়ে করেন, তখন রণবীর কাপুর খোলাখুলি তাঁদের জন্য শুভকামনা জানান। ‘কফি উইথ করণ’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমরা দুজনই নিজেদের জীবনে ইতিবাচকভাবে এগিয়ে গেছি। এখন আর কোনো অস্বস্তি নেই—আমরা ভালো বন্ধু।”
জন্মের আগে দীপিকা-রণবীর সিংয়ের সন্তানকে নিয়ে রণবীর কাপুর বলেছিলেন, “আমি চাই ওদের ঘরে অনেক সুন্দর সুন্দর বাবু আসুক। ওরা যেন আমাকে অভিনেতা হিসেবে পছন্দ করে!”
২০২৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর দীপিকা ও রণবীর সিংয়ের কন্যাসন্তান জন্ম নেন। শিশুটির মুখ এখনো প্রকাশ্যে আসেনি। তবে রণবীর কাপুরের দেওয়া সেই মন্তব্য আবার ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা রণবীরের বক্তব্যে খুঁজে পেয়েছেন একজন পরিণত, সংবেদনশীল পুরুষের প্রতিচ্ছবি।
বলিউডে সম্পর্ক ভাঙা-গড়ার খবর নতুন কিছু নয়, কিন্তু দীপিকা ও রণবীর কাপুরের মধ্যকার এই শ্রদ্ধাবোধ ও বন্ধুত্ব—নিশ্চয়ই অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।