পাকিস্তানের লাহোর শহরের আকাশে দুটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পুলিশ বিভাগের একজন কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার (৮ মে) সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই তথ্য জানান। ঘটনার একদিন আগেই ভারত পাকিস্তান ও পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালায়।
ড্রোন দুটি কোথা থেকে এসেছে বা কী ধরণের ছিল, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “আমরা ড্রোনগুলোর প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করছি। সেগুলো কোথা থেকে এসেছে এবং কারা পরিচালনা করেছে, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।”
সূত্রের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, ড্রোন দুটি জ্যামিং সিস্টেমের আওতায় চলে গেলে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ব্যাহত হয় এবং নিচে পড়ে যায়। তবে এই দাবির সত্যতা সিএনএন স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
পাকিস্তানের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (CAA) বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা পর্যন্ত লাহোর বিমানবন্দর বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। তবে এই সিদ্ধান্তের পেছনে কোনো আনুষ্ঠানিক কারণ জানানো হয়নি।
এর আগের দিন ভারত পাকিস্তানের ৯টি জায়গায় ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে বলে দাবি করে। ভারত বলছে, হামলায় অন্তত ৭০ জন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছে। তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব হামলায় নিহত হয়েছে ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক এবং আহত হয়েছে আরও ৪৬ জন।
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান জানায়, তারা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে রাফাল, সু-৩০ এবং মিগ-২৯। তবে ভারত স্বীকার করেছে তিনটি যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সীমান্ত অঞ্চলে চলমান এই উত্তেজনার মধ্যে লাহোরে ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা যদি এমনভাবে চলতে থাকে, তা পূর্ণমাত্রার সংঘাতে গড়াতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে এবং সংযমের আহ্বান জানাচ্ছে।